1. admin@stv52.com : admin :
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন

আমরা কোনো অবিচার চাই না : ডা. শফিকুর

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
  • ১৭৩ বার পঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা কোনো অবিচার চাই না। আমরা ন্যায়বিচার চাই। আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বলছি, তাদের কলম যেন ন্যায়ের পক্ষে চলে।

শুক্রবার (২৭ জুন) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে স্কুলছাত্রী নাফিসা আনজুমের বাড়িতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান তিনি।

শফিকুর রহমান বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো শক্তি কিংবা অন্য কিছুর কাছে প্রভাবিত হয়ে যদি নয়ছয় করেন, তাহলে আল্লাহর দরবারে ধরা খাবেন, দুনিয়ায় ধরা খাবেন। আমরা কিন্তু ছাড় দেব না। কারণ এই খুনি হলো আত্মস্বীকৃত খুনি। এই খুনি আনজুমকে জুলুম করে খুন করেছে, সে নিজে সাক্ষী দিয়েছে। এখানে অন্য কোনো সাক্ষী থাকলেও চলবে, না থাকলেও চলবে।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচার করবে। স্বাধীন বিচারকের ওপর পরাধীনতা করার চেষ্টা কাম্য নয়। শুনেছি, এই হত্যা মামলা নিয়ে অনেকেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এরকম যদি হয়ে থাকে আমরা তা প্রতিহত করব। ন্যায়বিচারের জন্য সবাইকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, মজলুম পরিবারের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এত বড় জঘন্য কাজ করার পর যদি অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত না হয়, তাহলে এলাকায় আরও বড় শয়তানের জন্ম হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত আনজুমের বাবা আব্দুল খালিক, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম খান ও আলাউদ্দিন, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি লুৎফুর রহমান, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

গত ১২ জুন সকাল ৭টার দিকে শিক্ষার্থী আনজুম পার্শ্ববর্তী সিংগুর গ্রামে কোচিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিকের মেয়ে ও শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। নিখোঁজের দুদিন পর ১৪ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশের ছড়ার পাড়ে দুর্গন্ধ পেয়ে ভুক্তভোগীর ভাই ও মামা তার অর্ধগলিত মরদেহ খুঁজে পান।

এ ঘটনায় আনজুমের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহির মিয়ার ছেলে জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।

এদিকে অভিযুক্ত জুনেল মিয়া পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করলেও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এ নিয়ে নিহতের পরিবার, আনজুমের সহপাঠী ও এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘাতক জুনেলকে দ্রুত বিচার ট্র্যাইবুনালে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি এলাকাবাসীর।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2025
Design By Raytahost